write.as

আমার এম্নে উপরের কোনো লক্ষণ মিলতেছে নাহ আলহামদুলিল্লাহ কিন্তু আমার আগে পড়ালেখার প্রতি একটা সিরিয়াসনেস ছিল কিন্তু লাস্ট দুই সেমিস্টার ধরে এটা কমে গেছে...মানে লাস সেমিস্টার এ আমি পুরো সেমিস্টারে না পড়ালেখা করলেও টার্ম ফাইনাল এর আগে পড়ালেখা করতাম বাট এই সেমিস্টারে টোটালি ভয়াবহ অবস্থা...সিটি এটেন্ডেন্স কিছুই নাই...ইভেন টার্ম ফাইনালের আগেও পড়তেছি নাহ...মানে হচ্ছে আমি বসতেছি টেবিলে এই নিয়্যাতে যে সব কিছু এখন গুছাব হউক সেটা একাডেমিক্যাল অর দ্বীনি বিষয়ক ্‌,বসার আগে অনেক চিন্তা আসে মাথায় প্ল্যান থাকে বাট বসার পরে ডিস্ট্র্যাক্ট হয়ে যাই. আর ভুলে যাই ..সেটা হয় ফেসবুকে ঢুকে অর ইউটিউবে ঢুকে( কোনো দ্বীনি লেকচার/ ফানি ভিডিও / আন্যিমেল ফাইট টাইপ ভিডিও অর অন্য কোনোভিডিও)...আর আমার মধ্যে আগে কখনো পর্ণ দেখার অভ্যাস ওরকম ছিল নাহ বাট লাস্ট কয়েক মাস শয়তান আমাকে এই ক্ষেত্রে ভুগিয়েছে অনেক .এই লাইফে পর্ণ দেখছি সব মিলিয়ে ২০-২৫ বার বা তার ও কম হবে বাট টানা ২/৩ ঘন্টার বেশি কখনো নাহ.এরকম খুব ই কম হইছে যে টানা ৪০ মিনিটের উপর দেখছি বা ৩০ মিনিটের বেশি... .আর হস্তমৈথুন করি নাহ বাট ফ্যান্টাসি তে ভোগার ফলে কোল বালিশ নিয়ে সহবাস টাইপ করে বীর্যপাত করি...এটা এই ২১ বছরের লাইফে শুধু ২০১৯ সালেই হইছে ...সব মিলিয়ে ৩০-৪০ বার...বাট এটা লাস্টিং করত ১/২/৩ দিন.আর আমি বলব আমার উপর আল্লাহ'র এক বিশেষ নিয়ামত আছে...আমি যদি আল্লাহ'র কোনো কমান্ড অমান্য করি তাহলে সেটা থেকে বের না হওয়া অব্ধি আমি কোনো কাজেই মনোযোগ দিতে পারতাম নাহ যেমন খাওয়া গোসল স্ব্লাত কিছুই করতে পারতাম নাহ...সেই কমান্ড অমান্য কাজ টা হউক পর্ণ দেখা অর কোনো মেয়ের সাথে জাস্ট চ্যাট করা..অনেকে আছে এসব কাজ ও করে মানে গুনাহ করে আবার ভারসিটি তে যায় ক্লাস করে এক্সাম দেয় রেজাল্ট ও ভালো...আমি ...ওই দিন গুলো( ১/২/৩ দিন) ভারসিটি যেতাম নাহ সিটি দিতাম নাহ এটেন্ডেন্স ও ছিল নাহ এজন্য...বাট এসব করার পরে আবার কাম ব্যাক করতাম তাওবা করতাম...আমি অবাক হয়ে যেতাম এই ভেবে যে ইবলিস আমাকে দিয়ে এসব করালো যে ছেলে কিনা ২০১৮ সাল অব্ধি এসব থেকে টোটালি দূরে ছিল...ঈমান আমলের অবস্থাও অনেক ভালো ছিল...অন্তরে যে কি স্বাদ টা ছিল...পুরো শীতল হয়ে যাইত আল্লাহ'র কথা স্মরণ করলেই...সেই স্বাদ টা যে হারাইছি আর পাই নাই... আর আমার নিজের কাছে মনে হয় যে এসব আমার নিজের উপর...আমি নিজে সিরিয়াস হলে আল্লাহ চাইলে আবার আগের মতো সম্ভব

বাট বদনজর এর ব্যাপার টা নিয়ে কনফিউশানে আছি...কারণ আমার রুমে বই পত্র এমন ভাবে ছরানো ছিটানো থাকত দেকেহ মনে হত যে আমি অনেক পড়ালেখা করি...তো পাশের বাসার এক আন্টি একবার রুমে ঢুকে এগুলো দেখে তাকিয়ে ছিল আর আম্মাকে বলত যে আমি অনেক পড়ালেখা করি আর ওনার ছেলে পড়ালেখায় ভালো নাহ অতো...বাট আন্টির ব্যাপার টা আমি জাস্ট সন্দেহ করতেছি

আর আমার সমস্যা দেখে অনেকে হয়তো বলতে পারেন যে বিয়ে করেন নাহ কেন বাট আমার কিছু পারসোনাল গোল আছে...দ্বীনের ব্যাপারে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই যাতে করে আমিও এরকম কাউকে পাই যদি ভাগ্যে থাকে তবে ইং শা আল্লাহ ২৫ এর মধ্যেই করে ফেলার নিয়্যাত আছে ...ওয়ামা তাওফিকী ইল্লা বিল্লাহ

আর আগে আমি অনেক আমল করতাম সূরা শোনতাম রুকিয়াহ এর আয়াত শোনতাম মানে ভারসিটি তে চান্স পাবার পর যে ১/২ মাসের গ্যাপ থাকে ক্লাস শুরু হবার আগ অব্ধি...তখন থেকেই ঈমান আমলের অবস্থা অনেক ভালো ছিল...বাট ভারসিটি তে ঢোকার পর থেকেই ছন্দপতন শুরু যে সাব্জেক্টে ভর্তি হইছিলাম ভেবে চিন্তেই নিছিলাম...।ভাবছিলাম এটা নিয়ে অনেক স্টাডি করব অনেক জানব...বাট ভর্তি হবার পর যে কি হলো বুঝলাম নাহ...শুরুই করলাম না এখন অব্ধি ভালোভাবে ...২ টা বছর চলে গেছে আর আরেকটা ব্যাপার বলে রাখি আমার কলেজ লাইফের দুই বছর আমি ফ্যামিলি থেকে দূরে ছিলাম বাট অবস্থা বেশি খারাপ হবার পর আম্মা গিয়ে আমার সাথে ছিল(hsc eএর আগ থেকে অ্যাডমিশন অব্ধি) মূলত সমস্যা টা শুরু হইছিল ২০১৬ সালের শেষে...তখন দ্বীনের বুঝ অতো ছিল নাহ..্বেশি বলতে .হাল্কা পাতলা মেয়েদের সাথে জাস্ট চ্যাট করতাম আর গান শুনতাম নাটক দেখতাম...আমার সমস্যা টা ছিল প্রচুর ওয়াসওয়াসা পাইতাম...কানের কাছে অনেক কিছু শুনতাম ফিসফিসানি ...শরীরে চিমটি মাথা ব্যাথা চোখের সামনে কি আসা যাওয়া করত যার ফলে আমি বই এর লিখগুলো পড়তে পারতাম নাহ ..আর এগুলো ফ্যামিলির কারো কাছে শেয়ার করলে আমাকে তারা পাগল বলত ...বলত সাইকোলজিস্ট এর কাছে নিতে হবে হাহা....আর আমি ছোট থেকেই introvert টাইপের ...গ্যাদারিং ভাল্লাগতো নাহ...আমার মনে হইত যে সবাই আমাকে নিয়ে মন্তব্য করতছে...মূলত আমি পড়তে বসলেই সব সমস্যা হইত...এছাড়া অন্য টাইমে তেমন কিছুই হতো নাহ...বাট আমি বলব এটা ছিল আল্লাহ'র পক্ষ থেকে আমার জন্য হেদায়াত..আর আমাকে জাসট সাবধান করা কারণ কলেজ লাইফে আমি অনেক্টা কেমন জানি উদাসীন হয়ে গিয়েছিলাম স্ব্লাত এর প্রতি...শয়তান আমাকে দিয়ে মারাত্নক কিছু গুনাহ করাতে চাইছিল বাট আল্লাহ আমাকে হেফাজত করেছিলেন ...সব সময় ই করেছেন আলহামদুলিল্লাহ সুবহানআল্লাহ আল্লাহু আকবার... এই ঘটনার কারনেই আমি আল্লাহর কাছাকাছি আসা শুরু করি দ্বীনের বুঝ পাই...৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তাম ডেইলি তাহাজ্জুদ পড়তাম আর আল্লাহ'র কাছে কান্নাকাটি করতাম বাট আমার hsc এক্সামের আগে মারাত্নক আকার ধারণ করছিল মানে আমি পড়তে বসলেই সব শুরু হইত ।।ওর প্ল্যান ছিল মূলত পড়ালেখা থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে দেওয়া পথভ্রষ্ট করা আর এটা হলে তো মানুষ যেকোনো গুনাহ ই করতে পারে যেহেতু আমি ছোটকাল থেকেই পড়ালেখার প্রতি সিরিইয়াস ছিলাম আর সবাই মোটামোটি ভালো হিসবেই জানত...তো hsc এর পর আমি গেলাম এক শাইখের কাছে...রুকিয়াহ করলো কোনো কিছু ধরা পড়লো নাহ আমি ভাবছিলাম সাথে কোনো কিছু আছে...আমি তখন ও ফেসবুকে এরকম দ্বীনি সার্কেল এ যুক্ত হইনি...তো আমাকে রুকিয়াহ করা পানি দিলো তেল দিলো...যায়তুন এর তেল দিলো খাওয়ার জন্য প্রচুর আমল করতে বলল...আমি নতুন উদ্যোমে শুরু করলাম...বুঝলাম এটা আমার যুদ্ধ...পরে বুঝতে পারছিলাম আল্লাহ আমাকে হেদায়াত দেওয়ার জন্যই এই পরীক্ষা টা নিয়েছিলেন...তিনি একেক জন কে একেক ভাবে হেদায়াত দেন...যাই হউক এটা আস্তে আস্তে কমে আসতে লাগলো কারণ আমি আলহামদুলিল্লাহ মোতামোটি আমল করার চেস্টা করতাম.. অ্যাডমিশান এর প্রথম দুই মাস(hsc এর পর ও ভালো জ্বালাইছিল) বাট আমাকে আটকাতে পারে নাই কারণ “নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল)... এটা মূলত জাস্ট আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম আরকি

বাট কিছু কিছু হাল্কা ওয়াস ওয়াসা এখন ও দেয় ...আমার মনে হয় আমি আমল করা কমিয়ে দিছি তাই এমন হয়...কারণ আমি আমল করা কমিয়ে দিলেই এটা বেড়ে যাইত...আগে ডেইলি কুরআন পড়তাম...সকাল সন্ধ্যায়...সন্ধ্যার পর তো ডেইলি বাট ভারসিটির ফার্স্ট ইয়ারেও পড়ছি বাট সেকেন্ড ইয়ার থেকে সমস্যা হয়ে গেছে ।।তাও পড়তাম বাট সেকেন্ড ইয়ার সেকেন্ড সেমিস্টার থেকে বেশি সমস্যা হইছে পড়ালখার অবনতি...আর আমার মনে হয় এটার জন্য আমার গোপন গুনাহ আর আমল এর পরিমান কমে যাওয়া ই দায়ী।

পুরোটা পড়ার পর আপনাদের মন্তব্য টা প্লিয আমাকে জানাবেন প্লিয...জাযাকাল্লাহু খইর